ইইউকে শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের
- By Jamini Roy --
- 21 December, 2024
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণের আগেই বিতর্কিত মন্তব্য এবং কড়া নীতির জন্য আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন। এবার তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বৃহৎ বাণিজ্য অংশীদার ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইইউ) লক্ষ্য করে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
ট্রাম্প শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে ইইউকে সতর্ক করে বলেন, "আমাদের থেকে বড় আকারে তেল ও গ্যাস কিনে তাদের বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি পূরণ করতে হবে। তা না হলে, পুরোপুরি শুল্ক আরোপ হবে।"
ট্রাম্পের বক্তব্যে ইইউর প্রতি তার কঠোর বাণিজ্যনীতি স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে তেল ও গ্যাস আমদানি বাড়ানোর দাবি জানিয়ে বলেন, "ইইউ যদি আমাদের থেকে প্রয়োজনীয় পরিমাণে জ্বালানি না কেনে, তাহলে তাদের পণ্যের ওপর ১০০% শুল্ক আরোপ করা হবে।"
ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি মুখপাত্র বলেছেন, "আমরা আলোচনার জন্য প্রস্তুত। ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিপুল পরিমাণ তেল ও গ্যাস আমদানি করা হচ্ছে। তবে যদি যুক্তরাষ্ট্র উৎপাদন না বাড়ায় বা এশিয়ার বাজারে সরবরাহ সীমিত না হয়, তাহলে অতিরিক্ত আমদানি সম্ভব হবে না।"
একের পর এক দেশকে শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়ে বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা সৃষ্টি করছেন ট্রাম্প। ইইউ ছাড়াও কানাডা, মেক্সিকো এবং চীনের বিরুদ্ধে কঠোর শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই অবস্থান বিশ্ব অর্থনীতিতে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে পারে।
বিশেষত চীনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বাণিজ্য সংঘাত চালিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্প প্রশাসনের নীতির কারণে বিশ্বের দুই বৃহৎ অর্থনীতির মধ্যে সম্পর্ক আরও জটিল হতে পারে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি দীর্ঘদিনের সমস্যা। ইইউ-এর সদস্য দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্র থেকে জ্বালানি, প্রযুক্তি এবং কৃষি পণ্য আমদানি করলেও ট্রাম্প প্রশাসন আরও বেশি বাণিজ্য সুবিধা দাবি করছে।
ইইউর পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্য আলোচনা চালিয়ে যাবে। তবে শুল্ক আরোপের মতো সিদ্ধান্তে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের কড়া বাণিজ্য নীতি বিশ্ব অর্থনীতির ওপর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষত ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো বাণিজ্য অংশীদারদের সঙ্গে সম্পর্ক অবনতি হলে যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানির উপরও চাপ সৃষ্টি হবে।